নিজস্ব প্রতিনিধি: রাঙামাটির কাউখালির এমএনসি ইটভাটা থেকে অপহরণ হওয়া দুই ইটভাটার শ্রমিকসহ তিনজনকে উদ্ধার অপহরনকারী -২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
গত ২৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে উদ্ধার হওয়ার ৬দিনপর সোমবার ভোরে তাদের উদ্ধার করা হয় বলে বিকালে একটা প্রেস কনফারেন্স জানিয়েছেন রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মারুফ আহমেদ। তিনি বলেন, গত ২৭ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১টার দিকে কাউখালি উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের তারাবুনিয়া এলাকার এমএনসি ইট ভাটার দুই শ্রমিকসহ ম্যানেজারের ছেলে মোঃ জিয়াউর রহমান জিকু(২৮),মোসলেম উদ্দিন(৪২), আহসান উল্ল্যাহ (৪৫)কে একদল স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে। ঘটনার পর MNC কোম্পানীর একজন মালিক মোঃ ফারুক বাদী হয়ে কাউখালী থানায় অপহরণ সংক্রান্তে একটি এজাহার দায়ের করেন। বাদীর এজাহারের প্রেক্ষিতে মামলা রুজুর পরপরই আমরা উক্ত অপহরণ এর বিষয়ে তদন্তে নেমে জানতে পারি এই অপহরনকারী দল ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী করেছে। সেই সূত্র ধরে কাউখালী থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনার সাথে জড়িত ০২ জন আসামীকে গত ৩১ ডিসেম্বর কাপ্তাই লিচুবাগান এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
উক্ত গ্রেফতারকৃত আসামীদের নিকট প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে পর পর সম্ভাব্য স্থান গুলোতে আমরা অভিযান পরিচালনা করতে থাকি। অভিযানের ধারাবাহিকতায় সোমবার ভোর ৫টার দিকে কাউখালী থানার একটি চৌকস টিম তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ‘অপরাশেন ডারুইন্যাছড়া’ নামে কলমপতি ইউপিস্থ ডারুইন্যাছড়া নামক এলাকার রাস্তা ব্যবহার করে ডাবুইন্যাছড়ার দূর্গম পাহাড়ী অঞ্চলে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামীরা ভিকটিমদেরসহ ডাবুইন্যাছড়ার পার্শ্ববর্তি কালাগাজি পাহাড় এলাকা দিয়ে ফটিকছড়ি ইউপি হয়ে হাটহাজারী থানা এলাকার দিকে রওয়ানা হয়।
প্রযুক্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ‘অপরাশেন ডাবুইন্যা’ টিমও হাটহাজারীর উদ্দেশ্যে রওয়না হয়। আসামীরা এক পর্যায়ে কোন উপায়ন্তর না পেয়ে সুযোগবুঝে ভিকটিমদের নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। আসামীরা পালিয়ে গেলে আমাদের টিম ভিকটিমদের উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়। পরবর্তীতে আসামীদের তাড়া করে না পেয়ে আমরা ভিকটিমদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান শেষে থানায় নিয়ে আসি। উল্লেখিত ঘটনার সহিত জড়িত ও পলাতক অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনার সহিত জড়িত পলাতক আসামীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হব।
এইসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি)শাহনেওয়াজ রাজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম) মারুফ আহম্মদ, সদর সার্কেল জাহিদুল ইসলাম, কাপ্তাই সার্কেল রওশন আরা রব, কাউখালি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. পারভেজ সহ কাউখালি থানার অপারেশন পরিচালনা টিম। অপহরণের পর উদ্ধার হওয়া শ্রমিকরা অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হওয়ায় পুলিশকে পুলিশকে ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, অপহরকৃত ভিকটিম তিনজনের মধ্যে দুইজন শ্রমিক থেকে নির্যাতন থেকে বাচতে ৪৫হাজার টাকা বিকাশে নিয়েছে বলে প্রতিবেদককে জানায়।